মানিকছড়ি প্রতিনিধি:
হালদা খালের উজান খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলাধীন বেশ কিছু এলাকায় পুনরায় তামাক চাষাবাদ শুরু হওয়ায় ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অবাধে বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে আইডিএফ।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন’র সহযোগিতায় মানিকছড়ি উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আইডিএফ’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রফেসর শহীদুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ও হালদা রক্ষা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. মনজুরুল কিবরিয়া, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুম্পা ঘোষ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিনুর রহমান, মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার সরকার, আইডিএফ চট্টগ্রাম জোনাল ম্যানেজার মো. শাহ আলম, খাগড়াছড়ি জেলার জোনাল ম্যানেজার মো. শাহজাহান প্রমুখ।
সভায় স্বাগত বক্তব্যে আইডিএফ’র চট্টগ্রাম জোনাল ম্যানেজার মো. শাহ আলম বলেন, ২০১৬ সাল থেকে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র ‘হালদা নদীর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও হালদা উৎসের পোনার বাজার সম্প্রসারণ’-শীর্ষক ভ্যালু চেইন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে আইডিএফ’র অর্থায়নে কাজ করছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন। বর্তমানে মানব সৃষ্ঠ নানা কারণে হালদী নদী আজ হুমকীর মুখে। তাই জাতীয় এই মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্রকে রক্ষা করতে সকলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহবান জানান।
হলদা খালের গুরুত্ব, সমস্যা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা তুলে ধরে ডকুমেন্টারী উপস্থাপন করেন হালদা রক্ষা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মনজুরুল কিবরিয়া। তিনি বলেন, ‘দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীকে ইতোমধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ’ ঘোষণা করেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা দিনদিন হুমকির মুখে পড়ছে মানব সৃষ্ট কারণে। হালদা পাড়ে অবাধে তামাকের চাষাবাদের ফলে যেমনি ভাবে হালদার পানি দূষিত হচ্ছে। অন্যদিকে প্রভাবশালী অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা হালদার উজান মানিকছড়ি অংশ থেকে শুধু বালু বিক্রি করইে খাচ্ছে না, হালদা নদী বিক্রি করে খাচ্ছে।’
আইডিএফ’র ও প্রশাসনের সহযোগিতায় ২০২০ সালের দিকে হালদার উজান মানিকছড়ি অংশে তামাক চাষ শূণ্যের কোটায় মেনে এসেছিল। যা পুনরায় বৃহৎ আকারে চাষাবাদের জন্য উৎসাহিত করে যাচ্ছে টোবাকো কোম্পানী গুলো। ফলে স্থানীয় চাষিরা তামাক চাষে ঝুঁকছেন! খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান না করতে পারলে হালদাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। তাই হালদাকে বাঁচাতে এক সাথে সকলকে কাজ করার আহব্বান জানান তিনি। এছাড়াও স্থানীয় চাষী, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই হালদাকে বাঁচানো সম্ভব বলে মনে করেন অতিথির।